
খেলাধুলা: বাংলাদেশের ক্রিকেটে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে পঞ্চপাণ্ডবের মধ্যে মুশফিকুর রহিম ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। বাকি রয়েছেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনিও চলতি বছর অবসরে নিতে পারেন।
জাতীয় দলের হয়ে দীর্ঘদিন ধরে খেলা মুশফিকুর রহিম হুট করেই বুধবার (৫ মার্চ) ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। তবে বিসিবিকে আগেই নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে রেখেছিলেন তিনি। বিসিবির ইচ্ছা ছিল তাকে মাঠ থেকে বিদায় জানানোর, কিন্তু তিনি অপেক্ষা করতে রাজি হননি। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানান, আমরা চেয়েছিলাম সে মাঠ থেকেই বিদায় নিক, কিন্তু মুশফিক মনে করেছেন, সামনে কোনো ওয়ানডে ম্যাচ না থাকায় এতদিন অপেক্ষা করা যুক্তিসঙ্গত নয়।
তবে জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পর্ক এখানেই শেষ হচ্ছে না মুশফিকের। তিনি এখনো টেস্ট ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন বলে মনে করেন বিসিবির পরিচালকরা। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান আরও বলেন, টেস্ট ক্রিকেটের কথা যদি বলি মুশফিক আমাদের গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়। সলিড একজন ব্যাটসম্যান। আমার মনে হয় না সেটা নিয়ে আলাপ আলোচনা করার খুব একটা সময় এসেছে। ও নিশ্চয়ই ওর ফিটনেসের বিষয়টি নিশ্চিত করে। এ বিষয়ে যেন তাকে সমালোচনার মুখোমুখি হতে না হয়। আমার মনে হয় ওই ধারণাটা হয়তো আরও কিছুদিন পরে আসবে। টেস্ট ক্রিকেট কবে ছাড়বে বা না ছাড়বে।
অন্যদিকে, অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেকে আর দেখতে পাচ্ছেন না তিনি। বিসিবির সঙ্গে আলোচনার পর এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ২০২৭ এর মধ্যে তারা থাকতে পারবে না, এটা তারা নিজেরাই উপলব্ধি করেছে এবং আমাদের সে কথাই জানিয়েছে। আমার ধারণা, খুব বেশিদিন রিয়াদকেও আমরা মাঠে দেখতে পাবো না। ধারণা করা হচ্ছে, পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানতে পারেন মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ ক্রিকেটে ‘পঞ্চ পান্ডব’ যুগের সমাপ্তির পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল, নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়দের জন্য তৈরি হচ্ছে সুযোগের নতুন দিগন্ত।