নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ১০৬ রানের লক্ষ্য ১৬ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে টপকে গেছে প্রোটিয়ারা। শেষ হয়েছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রা। এবার হিসেব মেলানোর পালা; কেমন কাটল আয়োজক বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন?
এবারের নারী বিশ্বকাপে বাংলাদেশের একমাত্র পাওয়া প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়। যেটি কিনা এসেছে মাঝের ৪ বিশ্বকাপের পর। বিশ্বকাপে বাংলাদেশর সুখস্মৃতি বলতে এতটুকুই। বাকি ম্যাচগুলোতে তেমন একটা লড়াইও করতে পারেনি অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
চার ম্যাচের কোনটিতেই ১২০ রান স্পর্শ করতে পারেনি বাংলাদেশ। আসর জুড়েই বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে ব্যাটাররা। নয়তে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অন্তত একটা জয় পেতেই পারত জ্যোতিরা। তবে সেটি হয়নি এই ব্যাটারদের ব্যর্থতার কারণেই। আসর জুড়ে ডট বল খেলেছে বাংলাদেশ। প্রশ্ন আছে বোলিং ও ফিল্ডিং নিয়েও। এত সব প্রশ্ন সঙ্গী করে এবার দেশে ফিরছে জ্যোতিরা।
শনিবার পর্যন্ত আসরের সেরা চার রান স্কোরারের দুই জনই বাংলাদেশের। চার ইনিংসে ১৩৪ রান করেছেন সোবহানা, ১০৪ নিগার। কিন্তু অন্যদের অবস্থা এতটাই সূচনীয় যে ধুঁকতে হয়েছে দলকে। সোবহানা ও নিগারের রানও আদতে খুব কাজে লাগেনি দলের। বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউ, খুব গতিময় ব্যাটিংও করতে পারেননি তারা। সোবহানার স্ট্রাইক রেট ৮৮.৭৪, নিগারের ৮৬.৬৬।
এসব নিয়ে তাই হতাশ জ্যোতি। বলেন, ‘সমস্যাটি খুবই দৃশ্যমান যে, ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা ধুঁকছি। যদি পাওয়ার প্লেতে আমরা ভালো শুরু পাই, তাহলে মিডল অর্ডারে ধুঁকতে হয়। কখনও কখনও সেভাবে শেষ করতে পারি না, যেভাবে করা উচিত। অনেক প্রশ্ন নিয়েই তাই আমরা যাচ্ছি। সামনের পথচলায় প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে হবে আমাদের।’
জ্যোতি আরও বলেন, ‘বোলাররা ভালো করেছে, ব্যাটাররা রান করতে পারেনি। ইংল্যান্ড ১১৯ রান করেছে, আমরা সেটা তাড়া করতে পারিনি। এটা তো আমাদেরই ব্যর্থতা।’
দলের উন্নতি নিয়ে জ্যোতি বলেন, ‘এসব পর্যায়ে আসলে ক্রিকেটারদের মানসিক দিকটা আরও শক্তিশালী হওয়া উচিত। দল যথেষ্টই অভিজ্ঞ, বলব আমি। তবে এরকম টুর্নামেন্টে এসে যদি দলীয় প্রচেষ্টা না হয় বা কোনো পারফরম্যান্স না হয়, তাহলে সেটা ম্যাচ জেতার দিকে যায় না। দু-একটি ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স এত বড় পর্যায়ে এসে ম্যাচ জেতায় না।’