শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন করে উজ্জীবিত ইসলামি দলগুলো। এবার বৃহত্তর ঐক্য গড়ার পথে তারা। জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, বেশ কয়েকটি দল ও ইসলামি চিন্তাবিদদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করেছেন তারা।
কয়েকজন নেতা ইঙ্গিত দিয়েছেন, একক প্রতীকে নির্বাচনে যাওয়ার কৌশল নিয়েও ভাবনা আছে দলগুলোর।
নতুন রাজনৈতিক কৌশল নিতে চায় ইসলামি দলগুলো। নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন চিন্তার দূরত্ব ঘোচাতে চায় তারা।
নতুন রাজনৈতিক কৌশল নিতে চায় ইসলামি দলগুলো। নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন চিন্তার দূরত্ব ঘোচাতে চায় তারা।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর পাল্টে গেছে দেশের রাজনীতির হিসাব-নিকাশ। আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকায় বিএনপি ও তার এক সময়ের মিত্র দলগুলোর মধ্যে চলছে নানা সমীকরণ। এরই মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন ও হেফাজতে ইসলামসহ অন্যান্য ইসলামি দল রাজনীতির মাঠে এখন বেশ সরব।
নেতারা বলছেন, ফ্যাসিবাদের পতন হওয়ার পর তাদের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে মানুষের। মুক্ত পরিবেশ পাওয়ায় বাড়ছে তাদের সমর্থকের সংখ্যা।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, কল্যাণরাষ্ট্র গঠনে ইসলামি দলগুলো যে ভূমিকা রাখতে পারবে এ জায়গায় জনগণ আগের চেয়ে হাজারগুণ বেশি আশাবাদী। ফলে তারাও আশাবাদী জনগণের সে ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে।
এ সুযোগে নতুন রাজনৈতিক কৌশল নিতে চায় ইসলামি দলগুলো। নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন চিন্তার দূরত্ব ঘোচাতে চায় তারা।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, এরই মধ্যে আমরা ইসলামি দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। অনেক দল সম্মত হয়েছেন। দেশের মানুষও চাইছেন একবার অন্তত ইসলামি দলগুলো দেশ শাসন করুক। মানুষ তখন পার্থক্য করতে পারবে ইসলামি শাসনতন্ত্র কল্যাণমুখী নাকি ফ্যাসিবাদী।
ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পক্ষে সম্মতি জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক বলেন, হেফাজত, জামায়াত এবং ইসলামী আন্দোলন — এই তিন শক্তি এক সঙ্গে হওয়ার একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, ভালো ফল আসবে।
একই মত পোষণ করলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, তারা এখন পর্যন্ত ৭টি ইসলামি দল এবং কোন দলের সাথে নেই কিন্তু ইসলামি চিন্তাবিদ, জাতির কাছে তাদের মর্যাদা আছে — এমন বেশ কয়েকজনের সাথে আলাদা আলাদা কথা বলেছেন।
ভোটের মাঠে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের বাইরে অন্যদের তেমন প্রভাব না থাকলেও নেতাদের দাবি, জোট হলে নতুন রেকর্ড দেখবে বাংলাদেশ।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে পারি এবং মানুষের আশা-আঙক্ষাকে কাজে লাগাতে পারি, তাহলে আগামী নির্বাচনে একটা বড় ভোট ব্যাংক তারা দেখাতে পারবেন এবং সরকার গঠন করতে পারবেন ইনশা আল্লাহ।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী দেশে নিবন্ধিত ইসলামি দলের সংখ্যা ১১টি।
সুূুত্রঃ জুমবাংলা