খেলাধুলা: চলছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসর। আজই শেষ হবে টুর্নামেন্টটির লিগ পর্বের খেলা। এরই মধ্যে একাধিক বিতর্কে জর্জরিত দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টটি। এসবের মাঝে আবার সন্দেহ তৈরি হয়েছে ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দুর্নীতি দমন ইউনিট (এসিইউ) অজ্ঞাত পরিচয় সূত্রের খবর এবং গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আটটি ম্যাচ স্পট-ফিক্সিং এবং ম্যাচ-ফিক্সিংয়ের সন্দেহে চিহ্নিত করেছে।
এছাড়া ফিক্সিংয়ের অভিযোগে নজরদারিতে রয়েছেন দেশি-বিদেশি ১৩ ক্রিকেটার। এর মধ্যে সবার উপরে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করা উইকেট রক্ষক ব্যাটার এনামুল হক বিজয়ের নামটাও। যার কারণে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার গুঞ্জন উঠেছে। সবমিলিয়ে এবারের বিপিএলের অন্যতম সর্বোচ্চ এই রান সংগ্রাহকের জন্য সময়টা কিছুটা কোণঠাসাই বটে। ফিক্সিং ও নিষেধাজ্ঞার ইস্যুতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বিজয়।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই ওপেনার বলেন, ‘আসলে কি বলবো, আমি এটা (দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা) জানি না পুরোপুরি। নিউজটা দেখছি শুধু আর কি।’ এরপর জানতে চাওয়া হয় একটি গণমাধ্যমে ফিক্সিং ইস্যুতেও এসেছে আপনার নাম, এ নিয়ে বিজয় বলেন, ‘বিসিবি তো এগুলো দেখছে, তারাই আমাদের (ক্রিকেটের) অভিভাবক। এখন কেউ না জেনে না শুনে হুট করে একটা কথা বলে ফেলছে, খুবই কষ্টদায়ক আসলে। হ্যাঁ , বিসিবিকে জানিয়েছি আর বিসিবি আসলে কোনদিন কাউকে জানায়নি। উনারা কোথা থেকে নিউজগুলো পেয়েছে, বিসিবিও অবাক হয়েছে আসলে। প্রবাসী অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান সামি একটি তালিকা প্রকাশ করেন। সেখানে ১৩ জনের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি ক্রিকেটার রয়েছেন।