
গতি দিয়ে পরিচিতি পেয়েছেন, গতিতেই রাজ করছেন নাহিদ রানা। প্রতিপক্ষের পরিকল্পনার বড় একটা অংশও থাকে তাকে ঘিরে। টেস্ট খেলতে আসা জিম্বাবুয়েও শুনেছিল স্পিডস্টারকে নিয়ে প্রশ্ন। তারা দিয়েছেন উড়িয়ে। সেই খোঁচার জবাবে হুংকারই দিয়ে রেখেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
আগামীকাল লাক্কাতুরার চা বাগান ঘেরা স্টেডিয়ামে শুরু হবে সাদা পোশাকের লড়াই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নামার আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে শান্তর কাছেও নাহিদের প্রসঙ্গটি যায়। গতকাল জিম্বাবুয়ের তারকা ব্যাটার শন উইলিয়ামস বলেছেন, নাহিদের গতি নিয়ে তারা চিন্তিত নয়। ওসব আগেও খেলেছেন, বোলিং মেশিনও নাকি বেশি গতিতে বল করে।
ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের আশপাশে বোলিং করেন নাহিদ। প্রতিপক্ষের ব্যাটারের নাকের জলে চোখের জলে করে দেন। শান্ত সেই বিষয়টিই সামনে এনেছেন। টাইগার অধিনায়ক বলেছেন, ‘ম্যাচে যখন নাহিদ বল করবে আর প্রতিপক্ষ যখন ব্যাট করবে তখন তাদের শরীরী ভাষা দেখলে বুঝতে পারবেন—নাহিদ রানা কত জোরে আসলে বল করে এবং কতটা এক্সট্রাডিনারি।’
প্রতিপক্ষ যখন জিম্বাবুয়ে তখন একটা ঘুরেফিরে আসছে একটি শব্দ, ‘ছোট দল’। শান্তর দৃষ্টিতে প্রতিপক্ষ বড় না ছোট—এই বিভাজন অপ্রাসঙ্গিক, ‘প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড বা জিম্বাবুয়ে, এই ধরনের চিন্তা না করে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে যেভাবে খেলব, দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গেও যেন সেই মন মানসিকতা থাকে।’
নতুন বছরে নতুনভাবে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ও শুনিয়েছেন টাইগার কাপ্তান, ‘আমি আশা করব সামনে যেই পাঁচটা ছয়টা টেস্ট ম্যাচ আছে, নতুন কিছু আপনারা দেখতে পাবেন ইনশাল্লাহ।’
সাদা পোশাকের লড়াইয়ে সিলেট টেস্টে জয়ের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর জিম্বাবুয়ে। টাইগারদের চেনাজানা মাঠ হলেও, সমীহ করছেন না। নিজ দেশেই সেরে এসেছেন প্রস্তুতির সিংহভাগ। এবার মাঠে সেসব বাস্তবায়নের অপেক্ষায় সফরকারীরা। তার আগে গতকাল প্রচ্ছ্বন্ন হুমকি ছুঁড়েই গেছেন উইলিয়ামস। টাইগাররাও নাছোড়বান্দা।
আগামীকাল সকাল ১০টায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে সাদা পোশাকের লড়াই। দুই টেস্টের দ্বিতীয়টি চট্টগ্রামে খেলবে দুদল্য।