ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের প্রস্তুতিতে বাধা হতে পারেনি বৃষ্টি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের নির্বাচিত একাদশের বিপক্ষে দুই দিনের শেষ ম্যাচে দারুণ বোলিং করেছেন সফরকারী বোলাররা। বিশেষ করে তরুণ বামহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ হ্যাটট্রিকে আলো কেড়েছেন।
দ্বিতীয় দিন সাড়ে ৪ ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয় ম্যাচ। মাঠে গড়িয়েছে ২৫.৪ ওভার। তার পরেও বাংলাদেশের দারুণ বোলিংয়ে স্বাগতিকদের ৮৭ রানে ৯ উইকেট তুলে নিতে পেরেছিল। ২৮তম ওভারে মুরাদের হ্যাটট্রিক শিকারে ফিরেছেন ড্যানিয়েল বেকফোর্ড, নবিন বিদেইসি ও চাইম হোল্ডার। তার পরেই বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্স ম্যাচ শেষের ইঙ্গিত দিলে ড্রয়ে সমাপ্ত হয় ম্যাচ।
দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের বোলাররাই ছিলেন আলোচনায়। তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ নেন একটি করে উইকেট। মাহমুদের শিকারে পরিণত হন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। তাতে প্রথম টেস্টের আগে ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের আত্মবিশ্বাসে ভালোভাবেই চিড় ধরানো গেছে।
সবচেয়ে বেশি সফল ছিলেন মুরাদ। ১.৪ ওভারে ১ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন। হাসান মাহমুদ ৬ ওভারে দুই উইকেট নিতে ১৫ রান খরচ করেছেন। তাসকিন ৫ ওভারে খরচ করেছেন ২১।
প্রথম দিন ব্যাট হাতেও ভালোভাবে নিজেদের মানিয়ে নিতে পেরেছিল বাংলাদেশ। ৭৩.২ ওভারে ৭ উইকেটে তারা ২৫৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল। জাকের আলী ও মাহিদুল ইসলাম ৪৮ ও ৪১ রানে রিটায়ার্ড হয়ে ফিরেছন। লিটন দাস ৩১ রানে রিটায়ার্ড হয়েছেন। সবচেয়ে অভিজ্ঞ মুমিনুল হকও ৩১ রানে রিটায়ার্ড হয়ে বিদায় নিয়েছেন। তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে উদ্বেগের কারণ হতে পারেন দুই ওপেনার। মাহমুদুল হাসান জয় (৮) ও জাকির হাসানের (১৫) দুজনেই কম রানে ফিরেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেয়ার ম্যাকঅ্যালিস্টার ও হোল্ডার দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। তাছাড়া ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন তাদের কিমানি মেলিয়াস।