শতবর্ষী টাইম ম্যাগাজিনের কভারে ঠাঁই করে নেওয়া অনেকের কাছেই স্বপ্নের মতো। কেননা, বিখ্যাত এই সাময়িকীর কভারে স্থান পেলে সেলিব্রেটির মর্যাদা পাওয়ার পাশাপাশি, অনেকের দৃষ্টি কাড়া সম্ভব। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, এটি বিশ্বের সবচেয়ে স্বনামধন্য এবং সবচেয়ে বহুল পঠিত ম্যাগাজিনগুলোর একটি।
তবে সেই টাইম ম্যাগাজিন ঘিরেই রয়েছে রহস্যময় এক অভিশাপ। বলা হয়, মার্কিন এই সাময়িকীর কাভার স্টোরিতে ঠাঁই করে নিলেই শুরু হয় অধঃপতন! বাস্তবে এমন কিছু নজির থাকায় এ নিয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বেশ ডালপালা মেলেছে।
টাইম ম্যাগাজিনের কভারে বহুবার জায়গা করে নিয়েছিলেন অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস। এর মধ্যে ১৯৮২, ১৯৮৪ ও ২০০৭ সাল উল্লেখযোগ্য। তবে ১৯৮৫ সালে হঠাৎ করে অ্যাপল থেকে স্টিভ জবসকে বের করে দেওয়া হয়। পতন ঘটে তার প্রতিষ্ঠান নেক্সটেরও।
২০১০ সালে টাইমসের কভারে আসেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। এর কয়েক বছর থেকেই ফেসবুকের খারাপ সময় শুরু হয়। সেই তালিকায় রয়েছ ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার বিতর্কের মতো বিষয়ও। ফেসবুককে সেই ধাক্কা এখনো সামাল দিতে হচ্ছে।
আর বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ককে নিয়ে ২০২১ সালে কভার নিউজ করে টাইম। এর কয়েক মাস পর, নজর লাগে টেসলার ওপর। শুরু হয় শেয়ার পতন।
টাইমের এই শনির কভারে ঠাঁই হয়েছিল জন এফ কেনেডি থেকে শুরু করে আইজাক রবিন, বেনজির ভুট্টো, আনোয়ার সাদাত, মাহাত্মা গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধী, রাফিক হারিরি, বারলুসকোনি, মুয়াম্মার গাদ্দাফি, সাদ্দাম হোসেনসহ এমন অসংখ্য রাষ্ট্রপ্রধানের। শেষপর্যন্ত তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছিল তা সবারই জানা।
বাংলাদেশের সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রীও টাইম ম্যাগাজিনের কভারে এসেছিলেন। ২০০৬ সালে খালেদা জিয়া টাইমের কভারে আসার পর থেকে আর ক্ষমতায়ই আসতে পারেননি। ২০২৩ সালে হার্ড পাওয়ার শিরোনামে শেখ হাসিনাও টাইম ম্যাগাজিনের কভারে এসেছিলেন।
শেখ হাসিনা টাইম ম্যাগাজিনের কভারে আসার বছর ঘোরার আগেই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছাড়তে হয় শেখ হাসিনাকে। তাই অনেকে বলছেন, তবে কী টাইমের কভারেই কপাল পুড়ল শেখ হাসিনার?
সুূত্রঃ কালবেলা