বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণ–অভ্যুত্থানের ছয় ছাত্রনেতার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের খবরটি ‘ভুয়া’ বলে জানিয়েছে ভারত। প্রতিবেশী দেশটির একটি সরকারি সূত্র গতকাল রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন বাংলাদেশি মিডিয়ায় ছয় বাংলাদেশি ছাত্রনেতার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ‘ভুয়া খবর’ ছড়ানো হয়। বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ‘ভারতবিরোধী’ মনোভাব সৃষ্টির জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলেও ওই সব প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।
‘ছয় ছাত্রনেতার ওপর ভারতীয় ভিসা নিষেধাজ্ঞা’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে নেতাদের নামও উল্লেখ করা হয়। নয়াদিল্লির সরকারি সূত্র অবশ্য এই প্রতিবেদনগুলোকে ভুয়া খবর বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ‘ছয় ছাত্রনেতার ওপর ভারতের ভিসা নিষেধাজ্ঞা’ শীর্ষক একটি সংবাদ গতকাল প্রকাশ করে জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য মিরর এশিয়া। এতে সংবাদমাধ্যমটি দাবি করে, ভারতবিরোধী জনতাকে উসকে দেওয়া ও ভারতের জাতীয় স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে বাংলাদেশের ছয় ছাত্রনেতা ও তাঁদের ঘনিষ্ঠজনদের ভিসা না দেওয়ার জন্য কালো তালিকাভুক্ত করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই তালিকায় নাম ছিল গণ অধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির আহ্বায়ক আখতার হোসেন, সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম ও নুসরাত তাবাসসুমের।
সুত্রঃ বিডি২৪লাইভ