চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেও অভিমান একটু কমেনি পিটার বাটলারের। তাইতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরক্ষণেই সাবিনাদের দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন এই বৃটিশ কোচ। এবার জানালেন আজই ঢাকা ছাড়তে চান তিনি।
সাফে টানা দ্বিতীয় বারের মতো চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের বেতন পাওনা দুই মাসের। ম্যাচ ফিও বকেয়া আছে বেশ কিছু। মেয়েদের চেয়ে এক মাস বেশি বকেয়া পিটার বাটলারের । শেষে তিন মাস বেতন চোখে দেখেননি নারী দলের এই হেড কোচ। পেশাদার কোচ বলে দায়িত্ব চালিয়ে গেছেন।
মুখ বুঝে সয়ে গেছেন বেতনের বিষয়টি। তবে দলের ভেতরকার নোংরামি তাকে আহত করেছে ভিষণ ভাবে। তাইতো এমন খুশির দিনে মেয়েদের বিদায় জানিয়ে বাটলার বললেন অনেক হয়েছে আর না। আর যাইহোক এই নোংরামির মধ্যে কাজ করা যায় না।
যদিও বাফুফের সঙ্গে বাটলারের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর। তারপরই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচের চেয়ার ছাড়বেন। তেমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এখনো বাফুফের কোচ। তাদের সঙ্গে আমার এ বছরের শেষ পর্যন্ত চুক্তি আছে। আমি তাদের সম্মান করি। তাই এখনই কোচের দায়িত্ব ছাড়ছি না। তবে এটাই মেয়েদের কোচ হিসেবে আমার শেষ ম্যাচ। ৩১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে কোচের দায়িত্বটাও ছাড়ব।’
দেশে ফেরার পর ছাদ খোলা বাসে বাফুফে ভবনে যাবে মেয়েরা। তবে এই বাসে উঠবেন না বাটলার। এর কারণ জানিয়ে এই অভিমানী কোচ বলেন, না এটা আমার জন্য নয়। আমি বাসে চড়ব না। মেয়েদের উপভোগ করতে দিন। তাঁরা ঘুরে বেড়াক। আমি অন্য একটি ফ্লাইট ধরার চেষ্টা করছি। আজ রাতেই আমি ইংল্যান্ডে ফিরতে চাই’ ।
বেশি দিন হয়নি বাংলাদেশ নারী ফুটবলের দায়িত্ব নিয়েছেন পিটার। তাকে মূলত আনা হয় বাফুফের এলিট একাডেমিতে কাজ করানোর জন্য। বছরখানেক সেখানে কোচিং করিয়ে গত মার্চে নারী ফুটবল দলের দায়িত্ব নেন।
সূত্র : মানবজমিন