প্রচ্ছদ খেলাধুলা ব্যালন ডি’অর কি বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে?

ব্যালন ডি’অর কি বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে?

ব্যালন ডি’অর ঘোষণার আগের রাত পর্যন্ত সবাই নিশ্চিত ছিলেন, ২০২৪ সালের পুরস্কার উঠছে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের হাতেই। কিন্তু পুরস্কার ঘোষণার অনুষ্ঠানের কয়েকঘণ্টা আগে জানা যায়, ব্রাজিল তারকা ফ্রান্সে যাচ্ছেন না। এতেই পরিস্কার হয়ে যায়, ভিনি ব্যালন ডি’অর পাচ্ছেন না। শেষ পর্যন্ত পুরস্কার উঠেছে রদ্রির হাতে।

এমন ঘটনায় ব্যালন ডি’অর বয়কট করেছে ভিনির ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। এতে নিশ্চিতভাবেই রং হারিয়েছে এই বর্ণাঢ্য আয়োজন। খোঁজা হচ্ছে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব। অনেকেই বলছেন, ব্যালন ডি’অর কি বিশ্বাসযোগ্যতা হারাল? গত মৌসুমে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ৬৩টি ম্যাচ খেলেছেন রদ্রি। মিডফিল্ডার হয়েও গোল করেছেন ১২টি ও অ্যাসিস্ট ১৬টি। স্পেনের হয়ে জিতেছেন ইউরো। ওই মৌসুমে তার দখলে গেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ, উয়েফা সুপার কাপ।

পুরো মৌসুমজুড়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স দিয়েই শর্টলিস্টে থাকা ২৯ তারকা ফুটবলারকে পিছনে ফেলে ৬৪ বছর পর স্পেনের কোনো পুরুষ ফুটবলার হিসেবে ব্যালন জিতলেন রদ্রি। ছেলেদের বর্ষসেরার এই পুরস্কারে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ১০০ দেশের প্রতিটি থেকে একজন করে সাংবাদিক ভোট দিয়েছেন। যেখানে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন রদ্রি আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী ভিনিসিয়ুস আছেন দুই নম্বরে। তাই আয়োজকেরা বলছেন, এখানে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব খোঁজার কিছু নেই।

ভিনিসিয়ুস গত মৌসুমে রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ে বড় অবদান রাখেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে দলের ২-০ ব্যবধানের জয়ে একটিসহ আসরে তিনি করেন ৬ গোল। নির্বাচিত হন আসরের সেরা খেলোয়াড়। ২০২৩-২৪ মৌসুমে লা লিগায় তিনি করেন ১৫ গোল। এছাড়া স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে করেন হ্যাটট্রিক। তবে তার দল ব্রাজিল কোপা আমেরিকার শেষ আট থেকেই বিদায় নেয়।২০২২ সাল থেকে ব্যালন ডি’অর দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়। আগে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে পুরো বছরের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নেওয়া হলেও, এখন বিবেচনায় ধরা হয় ইউরোপিয়ান ফুটবলের একটি মৌসুমকে (আগস্ট থেকে জুলাই)। ভিনিসিয়ুস ফরোয়ার্ড হয়ে যেখানে ৪৯ ম্যাচে ২৬ গোল করেছেন, সেখানে রদ্রি ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হয়ে করেছেন ৬৩ ম্যাচে ১২ গোল। গত মৌসুমে রদ্রি গোল বানিয়েছেন যেখানে ১৪টি, ভিনির ১১টি। তাঁর ‘কি পাস’ ১০০টি, ভিনির ৭০টি। এমন অনেক পরিসংখ্যানেই পিছিয়ে পড়ছেন ভিনি। এখন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব খুঁজবেন কিনা- সেটা আপনার বিষয়।