জাতীয়: ২০১২ সালে জমজমাট যাত্রা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল)। শুরুতে যতটা আকর্ষণ ছিল এই টুর্নামেন্টে, সময়ের স্রোতে তা যেন তলানিতে ঠেকেছে। তবে এবার নতুনভাবে বিপিএলকে বিশ্বে পরিচয় করে দিতে চায় লিগ কর্তৃপক্ষ ও বিসিবি।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেছেন, ‘নিজের উদ্যোগেই কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা এগিয়ে আসছেন। তারা বিশেষভাবে এটা নিয়ে কাজ করছেন। কীভাবে এটিকে আন্তর্জাতিক মানের ব্র্যান্ড করে তোলা যায় এবং একে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া যায়… বিশ্ব যেন দেখে বাংলাদেশের তরুণেরা কী করতে পারে, বাংলাদেশের খেলা কেমন।’
বিপিএলের জৌলুশ ফেরাতে হলিউড বা বাইরের তারকা নিয়ে আসার পরিকল্পনা বিসিবির। ফাহিম বললেন, ‘অনেক কিছুই সম্ভব না। বৈশ্বিকভাবে সব টিভিতে যেতে পারবো তা নয়। যদি প্রফেসর ইউনূস মাঠে আসেন, একটা বক্তব্য দেন…আমরা যদি দেখি বিদেশ থেকে দারুণ নামকরা একজন ফুটবলার, হলিউড থেকে দারুণ একজন অভিনেতা-অভিনেত্রী এখানে আসছে, এটার সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছে, এটা নিশ্চয় মিডিয়াতে আসবে। এবং এটা সারা বিশ্বের মিডিয়াতে আসবে। সেভাবেই কিন্তু এটার প্রচার হতে পারে। আমাদের চেষ্টা থাকবে বিশ্বব্যাপী এটা প্রচার করা। আমার ধারণা, এত দিন আমরা যতটুকু করতে পেরেছি তার চেয়ে বেশিগুণ এবার করা সম্ভব হবে।’
তবে কে বা কারা আসবেন সেই ব্যাপারে কিছু জানালেন না এই পরিচালক। কিছুটা আকর্ষণ রেখে দিলেন তিনি, ‘আমি এখনই নাম বলতে পারছি না বা বলতে চাই না। ক্রিকেট হতে পারে বা বাইরের অন্য স্পোর্টসের হতে পারে। স্পোর্টসের বাইরেও হতে পারে। এমন কাউকে এবার দেখতে পারি।’
অনেক সীমাবদ্ধতা থাকলেও এবারের বিপিএল নিয়ে আশাবাদী বোর্ড পরিচালক। এই টুর্নামেন্টকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার আশায় ব্যক্ত করেছেন ফাহিম, ‘আমাদের চেষ্টা করতে হবে এই উপলক্ষটাকে পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া। আমরা হয়তো এবার খেলার মাঠেই বিপিএলকে দেখবো না। বিপিএল কিন্তু এবার সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়বে কোনো না কোনোভাবে।’
এদিকে দল পেলেও সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি মুর্তজার বিপিএলে খেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সাকিব দেশের বাইরে আছেন। দেশের মাটিতে তাকে ক্রিকেট খেলতে দিতে চান না তার বিরোধীরা। এদিকে মাশরাফিকে বিপিএলে দেখতে চান না ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ। দুজনই ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য।
এপ্রসঙ্গে ফাহিম বলেছেন, ‘আমরা এত দিন ধরে যে সুপারস্টার তৈরি করতে পারিনি, এটা আমাদের ব্যর্থতা। আমি আশা করবো, এখান থেকেই নতুন সুপারস্টাররা গড়ে উঠবে। (মাশরাফি-সাকিব) থাকলে ভালো হতো। অবশ্যই তাদের একটা ব্র্যান্ড ভ্যালু আছে, এতে সন্দেহ নেই। যদি ওরা থাকে তাহলে এক ব্যাপার, না থাকলে অন্য ব্যাপার।’