ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ানডে সিরিজ ধবলধোলাই হয়ে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে টাইগাররা। প্রথম ম্যাচে জয়ের পর আজ মাঠে নেমেছিল সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে। তবে কিংসটাউনে আগে ব্যাট করতে নেমে বেকায়দায়ই পড়তে হয়েছিল লাল-সবুজের দলকে, ৮৮ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে বপাকে পড়েছিল দল। তবে শামীম হোসেনের ১৭ বলে ৩৫ রানের অপরাজিত ক্যামিও ইনিংসে ম্যাচে ফিরে টাইগাররা।
আগে ব্যাত করতে নেমে আজ বাংলাদেশ উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। এরই মাঝে মেহেদী মিরাজ, জাকের আলিদের ২৬ ও ২১ রানের ইনিংসের সুবাদে সংগ্রহ বাড়ে টাইগারদের। তবে বাকি ব্যাটাররারা দ্রুত আউট হওয়ায় চাপে পড়ে টাইগাররা।
৮৮ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশকে উদ্ধার করেছেন শামীম। তিনি ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই খেলেছেন আগ্রাসী মেজাজে। ২ চার আর ২ ছয়ে ১৭ বলে ৩৫ রানের ক্যামিও ইনিংসে দলকে ১২৯ রানের সংগ্রহ এনে দেন তিনি।
এরপর বোলারদের দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সের সুবাদে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিতে নিয়েছে ২৭ রানের ব্যবধানে। সেই সঙ্গে নিশ্চিত হইয়েছে সিরিজ জয়। আর অপরাজিত ক্যামিও ইনিংস খেলে ব্যবধান গড়ে দেয়া শামীম হয়েছেন ম্যাচসেরা।
ম্যাচসেরা হয়ে শামীম বলেন, ‘আমি খুব খুশি। অনেকদিন পর জাতীয় দলে ফিরেছি। আমি খুবই খুশি। দলে আমার ভূমিকা হচ্ছে ফিনিশার হিসেবে, বল মারতে হবে। গত কয়েক মাস আমি অনেক পরিশ্রম করেছি।’
এদিকে সিরিজ জয়ের পর টাইগারদের অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, ‘আমি খুব খুশি। শুধু আমি না, পুরো বাংলাদেশের মানুষই খুশি। আমরা এমন জয়ের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আমি যখন প্রথম বল খেলি, খুব কঠিন ছিল ব্যাট করা। শামীমকে ধন্যবাদ, সে খুব ভালো ব্যাট করেছে।’
টাইগারদের জয়ে আজ দুর্দান্ত অবদান রেখেছেন বোলাররা। তাসকিন আহমেদ এক ওভারেই দুই উইকেট এনে দেয়ার মেহেদী হাসান ও তানজিম সাকিবদের তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১০২ রানেই থামে ক্যারিবীয়রা। বলারদের কৃতিত্ব দিয়ে লিটন বলেন, ‘বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হয়। যখন আমরা উইকেট নিয়েছি, যেই বোলিংয়ে এসেছে উইকেট এনে দিয়েছে। এটা আসলে দলীয় প্রচেষ্টার ব্যাপার ছিল। আমরা একটা ভালো ফ্লোতে ছিলাম ওই মুহূর্তে। আমাদের এসে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে আবারও।’