সারাদেশ: চট্টগ্রামের পূজামন্ডপে গান গাওয়া অন্যতম দুইজনের একজন পাঞ্জেরী শিল্পীগোষ্ঠির আরেকজন পারাবার শিল্পী গোষ্ঠির সাবেক পরিচালক। তারা পূজা কমিটির আমন্ত্রণে ওখানে গেছেন। স্বেচ্ছায় বা জোর করে যান নাই। জোর করে ষ্টেইজে উঠে গানও পরিবেশন করেন নাই। তারা জামায়াত-শিবির পরিচয়েও সেখানে যান নাই। এমনকি সেখানে জামায়াত-শিবিরের কোন নেতা কর্মীও উপস্থিত ছিলনা।
পূজা উদযাপন কমিটির এক নেতার আমন্ত্রণে সংগঠনটি ওই পূজা মণ্ডপে গান করতে যায়। তবে গান গাওয়ার পরে সনাতন ধর্মের মানুষদের মধ্যে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। তাঁরা ওই সংগঠনটিকে জামায়াত ইসলামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে দাবি করছেন। যদিও জামায়াত জানিয়েছে, তারা এই গান করার বিষয়ে কিছুই জানেন না, গানের দলটিও তাদের কোনো অঙ্গ সংগঠন নয়।
এদিকে গানের দলটির সঙ্গে জামায়াতকে জড়িয়ে ফেসবুকে অনেকে লেখালেখি করলে এই বিষয়ে সংগঠনটি তাঁদের বক্তব্য স্পষ্ট করে। মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ এই বিষয়ে বলেন, ‘এই গানের দলের সঙ্গে জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই। গান করার সময় জামায়াতের কেউও অনুষ্ঠানস্থলে ছিলেন না।’
বরং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আবহ আনার জন্য পূজা উদযাপন কমিটির একজন তাদের আমন্ত্রন জানায় এটাই জানা যাচ্ছে। যে গানটা পরিবেশন করা হয় সে গানটা মূলত ইসলামে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের স্বাধীনতা ও অধিকারের কথা সম্বলিত গান। গানের নামই শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম। ঐকারণেই গানটা গাওয়া হয় বলে অনুমান করছি।
কিন্তু গানের একটা অংশ সাকলাইন মুরশিদ নামে একজন এমনভাবে আপলোড করেছেন যেন মনে হচ্ছে এই গানটা গাওয়া হয়েছে ইসলামের প্রচার-প্রসার করতে। উল্লেখ্য, সাকলাইন মুরশিদ ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে একটা অক্ষরও ব্যয় করেন নাই এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, সমন্বয়ক থেকে শুরু করে ফ্যাসিবাদবিরোধী সবাইকে বিতর্কিত করার চেষ্টা উনি করেন।
সেখানে মূলত লোক সংগীত, নৃত্য ও দেশাত্মবোধক গান একই ষ্টেজে গাওয়া হলেও বিষয়টিকে নেগেটিভলি প্রচার করেছে কিছু গু`জ`ব পেজ ও আ`ই`ডি। তবে এই ঘটনায় ইসলামী ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে যা বলা হচ্ছে পূজা উদযাপন কমিটিকে সাথে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জনসম্মুখে তা ক্লিয়ার করা উচিৎ জামায়াত ও শিবির নেতাদের। মূল ভিডিওটির টেলিগ্রাম লিংক কমেন্টে দেয়া হলো।