
সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে হারের দুঃস্মৃতি নিয়েই দেশটি ছাড়ছে বাংলাদেশ। এরপর দলের সামনে পাকিস্তান সফরের অ্যাসাইনমেন্ট। এই সফরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই প্রথম দলটা আগামী বুধবার লাহোরে শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে পৌঁছে গেছে।
প্রথম বহরে আছেন ১০ জন। চার ক্রিকেটার—হাসান মাহমুদ, তানভীর ইসলাম, পারভেজ হোসেন ইমন এবং তানজিম হাসান সাকিবের সঙে দলীয় ম্যানেজার নাফিস ইকবালসহ আরও কয়েকজন সাপোর্ট স্টাফ আছেন এই দলে। স্কোয়াডের বাকি খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফরা লাহোরে পৌঁছাবেন সোমবার, ২৬ মে।
দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, দুই দলে ভাগ হয়ে খেলোয়াড়রা পাকিস্তানে যাচ্ছেন। দ্বিতীয় দলও আজ ইউএই থেকে রওনা দেবে। নাফিস আরও জানান, সব খেলোয়াড় ২৬ মে ভোরের মধ্যেই লাহোরে পৌঁছে যাবে।
এদিকে আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলা মুস্তাফিজুর রহমান গতকাল তার শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। তিনি খুব শিগগিরই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।
বাংলাদেশ দল পাকিস্তানে পৌঁছে সময়ক্ষেপণ করবে না তেমন। ২৬ মে পুরো দল জড়ো হওয়ার পর সেদিনই নেমে পড়বে অনুশীলনে। ২৭ মেও অনুশীলন করবেন ফিল সিমন্সের শিষ্যরা। এরপর ২৮ মে শুরু হবে সিরিজ। বাকি দুটি ম্যাচ হবে ৩০ মে ও ১ জুন।
স্কোয়াডে থাকা রিশাদ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ এখন পাকিস্তানেই আছেন। তারা লাহোর কালান্দার্সের হয়ে পিএসএলে খেলছেন। রোববার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরসের বিপক্ষে ফাইনালে নামবে তাদের দল। এই ফাইনাল শেষ করে তারা জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।
গেল মাসে সামরিক উত্তেজনার কারণে পাকিস্তান সুপার লিগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এরপর বিদেশি খেলোয়াড়রাও দেশটিতে যেতে আপত্তি জানিয়েছিলেন।
এরপরই ছিল টাইগারদের এই পাকিস্তান সফর। এতে যাওয়া-না যাওয়ার এখতিয়ার পুরোপুরি খেলোয়াড়দের ওপর ছেড়ে দিয়েছিল বিসিবি। পেসার নাহিদ রানা, ফিল্ডিং কোচ জেমস পামেন্ট এবং ট্রেইনার নাথান কাইলি পাকিস্তান সফর থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিলেন। পিঠের ইনজুরির কারণে সৌম্য সরকার এই সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন।
বাংলাদেশের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জই বটে। আমিরাতের কাছে হারের পরই যে এই সিরিজ। ওদিকে পাকিস্তানেরও সময়টা ভালো যাচ্ছে না আদৌ। সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভরাডুবির পর এই সিরিজে নামছে দলটা। দুই দলই তাই চাইবে এই সিরিজ জিতে ফর্মে ফিরে আসতে।