এক সুন্দরী টিভি উপস্থাপিকাকে দেখে লোলুপ হয়ে ওঠেন সালমান এফ রহমান। তার প্রলোভনে সাড়া দিয়ে সেই বিবাহিতা নারীও দূরে ঠেলে দেন স্বামীকে। এমনকি ভুক্তভোগীর বউকে আরও কাছে পেতে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন সালমান। ওই স্বামীকে বাধ্য করেন স্ত্রীকে তালাক দিতে। এমনকি জেলেও পাঠান ওই নিরীহ ব্যক্তিকে।
দেশে শেয়ারবাজার কারসাজিতে বছরের পর বছর আলোচিত সালমান এফ রহমানকে নিয়ে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য নিজেই ফাঁস করেছেন ভুক্তভোগী ইনডেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল্লা আল মুনির।
বেসরকারি টিভি চ্যানেল দেশ টিভির এক প্রতিবেদনে মুনিরের স্ত্রী উপস্থাপিকা জাকিয়া তাজিনকে নিয়ে সালমানের নোংরামি তুলে ধরা হয়েছে। মুনিরের কাছ থেকে কেবল বউকেই কাড়েননি সালমান, তার ব্যবসা-বাণিজ্যেও ধস নামিয়েছেন।
দেশের আলোচিত ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান বরাবরই নানা কুখ্যাতির জন্য পরিচিত। বিশেষ করে ব্যাংক ও শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি আর হাজার-হাজার কোটি কোটি টাকার খেলাপি ঋণের জন্য কুখ্যাত তিনি।
শফিউল্লা আল মুনির দাবি করেন, তার স্ত্রী শেয়ারবাজার নিয়ে টিভিতে অনুষ্ঠান করার সূত্রে সালমান এফ রহমানের সঙ্গে পরিচয়। একটা পর্যায়ে তাদের মধ্যে অবৈধ বাজে সম্পর্ক তৈরি হয়। এক পর্যায়ে সালমান এফ রহমান তাকে ডেকে নিয়ে স্ত্রী তাজিনকে তালাক দিতে হুমকি দেয়। তার কাছ থেকে আটটি শর্তে তিনশ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন।
তিনি বলেন, ‘শর্তগুলোর মধ্যে ছিল, আমি কখনোই আমার কোম্পানির মালিকানা দাবি করতে পারবো না; আমার স্ত্রীকে ডিভোর্সের বিষয়ে কাউকেই কিছু বলতে পারবো না; এমনকি আমার ছেলের কাস্টডিও চাইতে পারবো না।’
‘তবে আমি যখন রাজি হলাম না, তখন এ বিষয়টি অনেকেই জানতে পারে। এক পর্যায়ে আমি এক মাস গুম হওয়ার মতো ছিলাম। হামলা-মামলার ভয়ে তটস্ত থাকতাম সবসময়। পরে ২০২০ সালের দিকে আমার স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যায়।’
সচেতন মহল বলছে, এমন ঘটনায় সালমান এফ রহমানের বাইরের আর ভেতরের দুই রূপই প্রকাশ পেয়েছে। বাইরে তিনি সফেদ রূপ ধারন করলেও তার ভেতরটা জঘন্য-কুৎসিত। অপরের স্ত্রীকে কেড়ে নিয়ে তিনি তার আসল রূপ প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মধ্যে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর আত্মগোপনে চলে যান অন্য মন্ত্রী-এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের মতো আত্মগোপন করেন সালমান এফ রহমান।
গত ১৩ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে এক হকার নিহত হওয়ার ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় করা হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ।