
দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েও বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখলেন তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলী। পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া দলকে উদ্ধার করেন এই দুই ব্যাটসম্যান। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ১৫৪ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশিপ গড়েন তারা, যা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি।
এর আগে ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জাস্টিন কেম্প ও মার্ক বাউচার ষষ্ঠ উইকেটে ১৩১ রানের জুটি গড়েছিলেন। সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন মাইলফলক স্থাপন করলেন হৃদয় ও জাকের। বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসেও ষষ্ঠ উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ জুটি।
এর আগে ২০১৮ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ইমরুল কায়েস মিলে ১২৮ রানের পার্টনারশিপ করেছিলেন।
দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জাকের ৮৭ বলে নিজের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি পূর্ণ করে ১১৪ বলে ৪ চারে ৬৮ রান করে মোহাম্মদ শামির বলে আউট হন। অন্যদিকে হৃদয়ও তুলে নেন তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন হৃদয়। এর আগে প্রথম এই রেকর্ডটি ছিল তামিম ইকবালের। সবমিলিয়ে হৃদয় নবম ক্রিকেটার হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় নিজের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন। এ ছাড়া নন-ওপেনার হিসেবে তিনি দ্বিতীয় সেঞ্চুরিয়ান।
এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের হয়ে পাঁচজন ক্রিকেটার সেঞ্চুরি পেয়েছেন। হৃদয়ের আগে একটি করে সেঞ্চুরি করেছেন- তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, শাহরিয়ার নাফিস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
জাকের উইকেটটি ছিল মোহাম্মদ সামির ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২০০তম শিকার, যা ১০৪ ম্যাচ খেলে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম মাইলফলক।