
গত মাসে নিউজিল্যান্ড সফরে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হয় পাকিস্তান। সেই সিরিজের দলে রাখা হয়নি পাকিস্তানের এ সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ও দলটির সাবেক অধিনায়ক বাবর আজমকে। মূলত অফ ফর্মের কারণেই তিনি বাদ পড়েন।
দল থেকে বাদ পড়া প্রসঙ্গে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাবর আজম বলেছেন, শুধুমাত্র নির্বাচক এবং কোচরাই আমার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার সম্পর্কে কী ভাবছেন তার উত্তর দিতে পারবেন। আমার কাজ পারফর্ম করা, সেটা টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে বা টেস্ট যাই হোক না কেন। দেখা যাক তারা কী সিদ্ধান্ত নেয়।
টি-টোয়েন্টির সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ১২৮ ম্যাচে অংশ নিয়ে ৩৯.৮৩ গড়ে রেকর্ড দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ হাজার ২২৩ রান করেন বাবর আজম। তার চেয়ে ৩১ ম্যাচ বেশি খেলে মাত্র ৮ রান বেশি করে শীর্ষে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়া ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার রোহিত শর্মা।
টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড রান করা সত্ত্বেও বাবর আজমকে বাদ দিয়ে নতুন ব্যাটসম্যানদের খেলাচ্ছে পাকিস্তান।
নিজের দল নিয়ে বাবর আজম বলেন, আমরা ম্যাচ উইনিং কম্বিনেশন গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আমাদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের ফিল্ডিংয়েও উন্নতি করতে হবে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাত্র ১০ বছরে ৩১টি সেঞ্চুরির সাহায্যে ১৪ হাজার ৬৯৩ রান করেছেন বাবর আজম; যা পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানকের মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ। তার চেয়ে বেশি রান করেছেন, জাভেদ মিয়াঁদাদ, মোহাম্মদ ইউসুফ, ইউনিস খান ও ইনজামাম উল হক। ইনজামাম সর্বোচ্চ ২০ হাজার ৫৮০ রান করেন।
৩০ বছর বয়সি এই তারকা ব্যাটসম্যান বলেন, মানুষ আমাকে আরও বেশি সময় ব্যাট করতে দেখতে চায়।
সাম্প্রতিক সময়ে আমি ধারাবাহিক খেলতে পারিনি। তবে প্রতিটি ভুল থেকে শেখার চেষ্টা করি।
তার স্ট্রাইক রেট নিয়ে অনেকে সমালোচনা করেন। তার জবাবে বাবর আজম বলেন, আমি জানি স্ট্রাইক রেট এবং আগ্রাসন নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। আমি দলের চাহিদা এবং ম্যাচের পরিস্থিতি অনুসারে খেলি। আমি কে তা আর প্রমাণ করার দরকার নেই। আমার মতো কেউ এতটা পজিশন পরিবর্তন করেনি। আমি টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি উভয় ক্ষেত্রেই ছয় থেকে ওপেনিং পর্যন্ত ব্যাট করেছি। দলের যা প্রয়োজন আমি তাই করি।
তিনি বলেন, ওয়ানডে ক্রিকেটে আপনার ধৈর্যের পরীক্ষা নেয়। ওয়ানডে ক্রিকেটে আমার সেরা কিছু ইনিংস রয়েছে। আমি যখন এক নম্বর র্যাংকিংয়ে ছিলাম, তখনো আমি সন্তুষ্ট ছিলাম না। আমি সবসময় পাকিস্তানের জন্য আরও কিছু করতে চাই।