চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ইস্যু আরও জটিল হচ্ছে। ব্রডকাস্টার ও বিজনেস পার্টনারদের চুক্তি অনুযায়ী সূচি ঘোষণা করতে পারেনি আইসিসি। পাকিস্তান হাইব্রিড মডেল মেনে না নিলে বাতিলও হতে পারে টুর্নামেন্ট। অন্য কোন দেশে হলেও পাক-ভারত ম্যাচ চায় ব্রডকাস্টাররা। ভারতের মাটিতেও পাকিস্তানের না খেলার ঘোষণা আসতে পারে।
আগামীকাল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) আইসিসির গুরুত্বপূর্ণ বোর্ডসভা। যেখানে হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তাব তুলবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ধারণা করা হচ্ছে, সে প্রস্তাবে বেশিরভাগ দেশ সাড়াও দেবে। কিন্তু নাটক কি শেষ হবে? টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে সম্ভাব্য তিনটি চিত্র উঠে আসছে।
সবচেয়ে সহজ সমাধান যদি পাকিস্তান হাইব্রিড মডেলে রাজি হয়। কিন্তু দেশটি তা প্রত্যাখ্যান ও বয়কট করলে অন্য কোন দেশে চলে যেতে পারে পুরো টুর্নামেন্ট। আলোচনায় আরব আমিরাত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আসর বাতিল বা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
তিন পরিণতির যেটাই হোক। ভারতের অসহযোগের প্রভাব পড়তে পারে তাদের মাটিতে হতে যাওয়া সব টুর্নামেন্টে। ২০৩১ সালের চক্রে ৫টি বড় ইভেন্ট আয়োজন করবে বিসিসিআই। দু’টিতে যৌথ আয়োজক শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। প্রতিশোধ হিসেবে সবগুলো বয়কট করতে পারে পাকিস্তান।
আর পাক-ভারত ম্যাচ না হওয়া মানে আর্থিক ক্ষতি। ফলে উভয়সঙ্কটে আইসিসি। যার শুরুটা টের পাচ্ছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সামনে রেখে। নব্বই দিন আগেও সূচি ঘোষণা করতে পারেনি। যা ব্রডকাস্টার, পার্টনার, স্পন্সর সব পক্ষের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গের সামিল।
হাইব্রিড মডেলে সমাধান বের করলেও বেঁকে বসতে পারে ব্রডকাস্টাররা। কারণ তারা নিশ্চিত করতে চায় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ।