খেলাধুলা: সাকিব আল হাসানের বোলিং অ্যাকশনের সমস্যা যেন কাটছেই না। বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটির কবারণে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) আয়োজিত কোনো টুর্নামেন্টে বোলিং করতে পারছেন না তিনি। ইংল্যান্ডের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশের বাইরের ঘরোয়া ক্রিকেটেও বোলিং করতে পারছেন না সাকিব। আর এই কারণে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ককে বোলিং পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় দ্বিতীয়বারও পাশ করতে পারেননি সাকিব। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সূত্রে এমন তথ্যই জানা গেছে।
২০২৪ সালের আগস্টে পাকিস্তান সফর শেষ করে ইংল্যান্ডে সারের হয়ে একটি ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলেন সাকিব। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ডিভিশন-ওয়ানের ম্যাচে সমারসেটের বিপক্ষে খেলে ভারত সফরের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। ২০১১-১২ মৌসুমের পর কাউন্টি ক্রিকেটে ফিরেই বল হাতে আলো ছড়িয়েছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেয়া সাকিব দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট।
ওই ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও সবমিলিয়ে ম্যাচে ১৯৩ রানে ৯ উইকেট নিয়ে ভারত সফরের প্রস্তুতিটা বেশ ভালোভাবেই নিয়েছিলেন তিনি। তবে ম্যাচ শেষের পরই দুঃসংবাদ পেতে হয় তাকে। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ ওঠে সাকিবের বিরুদ্ধে। ইংল্যান্ডের কাউন্টি, দ্য হান্ড্রেড কিংবা ইসিবির অধীনে যেকোন ম্যাচ খেলার ছাড়পত্র পেতে তাকে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে বলা হয়।
এরপর গত ডিসেম্বরের শুরুর দিকে ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের অদূরের লাফবরো ইউনিভার্সিটির মেডিকেল বিভাগের কাছে পরীক্ষা দেন সাকিব। যেখানে বেশ কয়েক ওভার বোলিং করেছিলেন বাঁহাতি স্পিনার। শুরুর দিকে একটু জোরের উপর বোলিং করলেও পরবর্তীতে গতি কমিয়ে দেন তিনি। তবে সেখানকার পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডারের। এরপর আবার গত ২১ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ে দেয়া বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায়ও পাশ করেননি তিনি। সাকিব বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় পাশ না করা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং করতে পারবেন না। তাই তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
দেশ সেরা এই ক্রিকেটারের যেন খারাপ সময় পিছুই ছাড়ছে না। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনে সবশেষ জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন তিনি। তবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে দেশে ফিরতে পারছেন না সাকিব। মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে চাইলেও সরকার তাকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে রাজি হয়নি। মূলত সাকিব যাতে দেশের হয়ে খেলতে না পারেন এবং দেশে ফিরতে না পারেন এমন দাবি তুলে আন্দোলন করেছিলেন ছাত্র-জনতা। মিরপুরে এমন আন্দোলনের পর থেকে জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যাচ্ছে না তাকে। এরপর থেকে বিদেশের বিভিন্ন বেনামি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলেই দিন কাটছে তার।