নিরাপদ আর দ্রুততম সময়ে যে কোনো গন্তব্যে পৌঁছানোর সবচেয়ে সহজ যানের একটি হলো বিমান। স্বল্প সময়ে হাজার হাজার কিলোমিটারের দূরত্বকে কাছে নিয়ে এসেছে এটি। বিমানে স্বল্পতম সময়ে গন্তব্যে পাড়ি দেওয়া গেলেও যান্ত্রিক গোলোযোগের খবর অস্বাভাবিক নয়। ঠিক তেমনি এমনকি যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে পড়েছে ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইট। ফলে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন দেড় শতাধিক যাত্রী।
শনিবার (৩১ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উড্ডয়নের পরপরই মাঝ আকাশে ইন্ডিগোর একটি বিমানের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। ফলে কিছুক্ষণের মধ্যে এটি আবার বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। তবে এতে কারো কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিমানে ক্রুসহ ১৭৩ জন যাত্রী ছিলেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন তারা।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, বেঙ্গালুরুগামী ইন্ডিগো ৬ই ৫৭৩ বিমানটি শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় উড্ডয়ন করে। কিন্তু উড্ডয়নের কিছু সময় পর পাইলট বিমানের ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখতে পান। ফলে তিনি তাৎক্ষণিক কলকাতা এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলে যোগাযোগ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগে জরুরি উড্ডয়নের অনুমতি চান তিনি। এরপর দ্রুতই বিমানটিকে জরুরি অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে জরুরি অবতরণের প্রস্তুতি নেন পাইলট। রাত ১০টা ৫৩ মিনিটে কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে তিনি জরুরি অবতরণ করেন। সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের বিমান থেকে দ্রুত বের করে আনা হয়।
ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এক মুখপাত্র জানান, এ ঘটনায় বিমানে আগুর বা দুর্ঘটনার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এ সময় বিমানবন্দরে ১০টা ৩৯ মিনিটে পূর্ণ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। এরপর এটি রাত ১১টা ৮ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়।
তিনি জানান, বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করানোর জন্য নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের উভয় রানওয়ে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।উড্ডয়নের পর বিমানের বাম পাশের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এজন্য এটি কলকাতায় ফিরে আসে।
এ ঘটনায় একটি বিবৃতি দিয়েছে ইন্ডিগো। তারা জানিয়েছে, উড্ডয়নের পরপরই ফ্লাইটটি ‘কারিগরি সমস্যার কারণে’ বিমানবন্দরে ফিরে আসে। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পাইলট সবকিছু করেছেন। পরবর্তীতে যাত্রীদের জন্য বিকল্প বিমানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।