ব্যগত ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব ছাড়তে চান নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের এক প্রতিবেদনে আজ (শনিবার) এমনটাই জানা গিয়েছে। তবে শান্তকেই অধিনায়ক হিসেবে রেখে দিতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শান্ত এখনও বিসিবিকে লিখিত কিছু দেননি বলে জানিয়েছেন ফাহিম, ‘অফিসিয়াল কোনো ডকুমেন্ট আমার কাছে এখনও আসেনি। অফিসিয়ালি জানতে পারিনি এটার সত্যতা কতটুকু। যদি হয়ে থাকে এটা আমাদের জন্য একটা বড় খবর। নতুন ক্যাপ্টেন যদি তৈরি করতে হয় ক্রিকেট বোর্ডকে বড় স্টেপ নিতে হবে। কিংবা তাকেই আবার অনুরোধ করে রাখা হয় কি না, বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের বিচার-বিবেচনা করতে হবে কী অবস্থা, কী সিদ্ধান্ত নেব। একটু অপেক্ষা করতে হবে আমরা আসলে কী সিদ্ধান্ত নিই।’
ব্যক্তিগত ফর্মের কারণে শান্তকে নিয়ে সমালোচনা হলেও, বোর্ডে তার নেতৃত্ব নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে ফাহিম বলেন, ‘আলোচনা বলতে যেটা বোঝায় তেমন কিছু না। অনেক সময় আন-অফিসিয়ালি অনেক ধরনের কথাবার্তা হয়। যেহেতু ব্যক্তিগতভাবে আমি একজন কোচ, ওদের সঙ্গে কথাবার্তা হয়, মেন্টরিং করি, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়। যে এখন ক্যাপ্টেন নেই সে-ও ক্যাপ্টেন হলে কেমন করবে সেসবও আমরা আলাপ করি। কোচ হিসেবে এটা এখানে নিয়ে আসতে চাই না। এ ধরনের কথাবার্তা অনেক সময় হয়। অফিসিয়ালি ধরে নেওয়ার সুযোগ নেই।’
যেকোনো ক্রিকেটারকেই নেতৃত্বে আনা হলে তাকে যথেষ্ট সময় ও সুযোগ দেওয়ার পক্ষে বিসিবির এই পরিচালক। এই দায়িত্বে নতুন কাউকে আনার ক্ষেত্রে আলোচনার কথা বললেন ফাহিম, ‘অবশ্যই বিসিবি আলোচনা করতে চাইবে। শান্ত এতদিন ধরে ক্যাপ্টেন্সি করছে। এটা তো সময়ের ইনভেস্টমেন্ট। আমরা একজনকে তৈরি করার চেষ্টা করছি। সে যদি হঠাৎ করে সরে যায়, নতুন একজন কিছুটা অপ্রস্তুত। সেটাতে যেতে না চাওয়াই স্বাভাবিক হবে। তবে হঠাৎ ৩-৪টি উইকেট পড়ে গেলে খেলা শেষ হয়ে যায় না।’
এ বিষয়ে বোর্ড বাইরে থেকে কোনো চাপে আছে কি না এমন প্রশ্নে বিকেএসপির এই প্রশিক্ষক বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই এসব ব্যাপারে বোর্ড সলিড একটা অবস্থানে থাকুক। এটা খুব জরুরি। তাহলে মিডিয়ার অনেক জায়গায় হয়তো ভালোভাবে নেওয়া হবে না। তবে খেলোয়াড়দের খেলাটাকে কীভাবে প্রটেস্ট করতে হবে সেটা খুব জরুরি। কেউ নেতিবাচক ভূমিকা রাখলে একটা সলিড স্ট্যান্ড বিসিবির নেওয়া উচিৎ, বা ক্রিকেটকে যারা ভালোবাসে সবারই। যারা দায়িত্বশীল তারাও অনেক সময় নেতিবাচক ভূমিকা রাখে। এখান থেকেও বেরিয়ে আসা প্রয়োজন।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অধিনায়ক হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশকে ৪২ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন শান্ত। এর মধ্যে ৯ টেস্টে এসেছে স্মরণীয় তিনটি জয় (নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দেশে প্রথম এবং পাকিস্তানের মাটিতে প্রথমবার দুই ম্যাচের সিরিজ)। শান্ত’র অধীনে বাংলাদেশ ৯টি ওয়ানডেতে ৩টি জয় ও ৬টিতে হেরেছে। একই সময়ে ২৪টি টি–টোয়েন্টি খেলে ১০টিতে জিতেছে বাংলাদেশ।