প্রচ্ছদ খেলাধুলা জাতীয় দল থেকে কেউ অবসর নিতে চাইলে সম্মান দেওয়া উচিত

জাতীয় দল থেকে কেউ অবসর নিতে চাইলে সম্মান দেওয়া উচিত

বয়স তার ৩৮। জাতীয় দলে খেলছেন না দুই বছরের বেশি সময় ধরে। তবে ঘরোয়া ফুটবলে নিজের পারফরম্যান্স দেখিয়ে যাচ্ছেন। আজও তেকাঠির নিচে দুর্দান্ত খেলেছেন আশরাফুল ইসলাম রানা। বসুন্ধরা কিংসকে তো আর একটু আটকে দিয়েছিলেন একাই। একের পর এক আক্রমণ রুখে দিয়ে কমলা জার্সিধারীদের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। তবে মজিবর রহমান জনির গোল আর প্রতিহত করা যায়নি। তাও ভালো কিংসের বিপক্ষে এক পয়েন্ট পেয়েছে ব্রাদার্স। দারুণ পারফরম্যান্স করে রানা হয়েছেন ম্যাচসেরা।

কিংস অ্যারেনাতে ম্যাচ শেষে রানার সঙ্গে কথা হয়েছে। ৯০ মিনিট একই গতিতে খেলে এখনও তার মনে খেদ থেকে গেছে। ২০২২ সালের অক্টোবরে নেপাল সফরের পর আর জাতীয় দলে ফেরা হয়নি। পরের বছর মার্চে সৌদি আরবে প্রস্তুতির দলে ডাক পাননি। এ নিয়ে তার ক্ষোভ কম নয়। রানা চাইছিলেন অক্টোবরের পর আর লাল-সবুজ দলে থাকবেন না। নিজের ইচ্ছার কথা হাভিয়ের কাবরেরাসহ কোচিং স্টাফদের জানিয়েও দিয়েছেন।

কিন্তু কাবরেরা নাকি তাকে এক বছর আরও খেলতে বলেছিলেন। মাঠ থেকে বের হয়ে আসার সময় রানা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আমি এখন নিজের আনন্দের জন্য খেলছি। জাতীয় দলে আর ফেরার কোনও চিন্তা নেই। সেখানে তরুণ গোলকিপাররা আছে। ওরা ভালো করছে। আসলে দুই বছর আগে যখন কাবরেরার কাছে বলেছিলাম অবসর নেওয়ার কথা। তখন অবসর দেওয়ার সম্মতি দিলে অনেক ভালো হতো। তা না দিয়ে আমাকে আশা দিয়ে আর দলে ডাকা হয়নি। তাই আর খেলাও হয়নি। জাতীয় দল থেকে অবসরও নেওয়া হয়নি। আসলে জাতীয় দলে থেকে কেউ অবসর নিতে চাইলে সম্মান দেওয়া উচিত।’

৯০ মিনিটের ম্যাচে ফিটনেসের দারুণ পরীক্ষাও দিয়েছেন রানা। তেকাঠির নিচে যেভাবে লড়েছেন তাতে বয়সটা ঠিকঠাক ধরা যায়নি। রানার উপলব্ধি, ‘আসলে আপনি যদি পেশাদার ফুটবলার হন। খাবার থেকে সবকিছু নিয়ম মেনে চলেন তাহলে নিজেকে ফিট রাখতে পারবেন। আমি সবকিছু মেনে চলি তাই এখনও ৯০ মিনিট লড়াই করতে পারছি।’

এই মৌসুম শেষে পুরোপুরি অর্থাৎ ঘরোয়া ফুটবল থেকে বুটজোড়া তুলে রাখার ইচ্ছ রানার। জাতীয় দলে ৯ ও ঘরোয়া ফুটবলে ১১ বছর তার ক্যারিয়ার। রানা বলছিলেন, ‘এই মৌসুমটাই হয়তো শেষ। চিন্তা করছি এরপরই ফুটবল থেকে অবসর নেবো। এখন দেখা যাক কী হয়।’