জাতীয়: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জামায়াতের চার নেতা-কর্মীকে হত্যায় বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ১১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নিহত সাইফুল ইসলামের বড় ভাই মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: ইকবাল হোসেনের আদালতে এই মামলার আবেদন করেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এফআইআর রেকর্ড করতে নির্দেশ দেন।
জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর শনিবার জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা কাদের মোল্লার অবৈধ ফাঁসি কার্যকর করার প্রতিবাদে বসুরহাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জামায়াত শিবির। মিছিলটি কেজি স্কুলে সমবেত হয়। ওই সময় মামলার বাদি ও তার ভাই সাইফুল ইসলাম মিছিলে অংশ গ্রহণ করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি কেজি স্কুলের পূর্ব দিকে অগ্রসর হলে এ সময় হামলা ও গুলি চালায় ।
হামলাকারীদের মধ্যে স্থানীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগ কর্মীরা ও ছিল। হামলাকারীদের মধ্যে অনেকে হেলমেট পরে অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত ছিল। কাদের মির্জা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজনুর রহমান বাদল ও সিরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন মিকন নিজে এবং তাদের নির্দেশে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজম পাশা চৌধুরী রুমেল ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন মুন্নাসহ ৫০ জন আসামি মিছিলে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। এতে জামায়াত শিবিরের চার নেতা-কর্মী নিহত হন। এতে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নুরুজ্জামান, থানার পরিদশর্ক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম, এসআই শিশির কুমার বিশ্বাসসহ ১১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।
নোয়াখালী জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইসহাক খন্দকার বলেন, ২০১৩ সালে কোম্পানীগঞ্জে জামায়াতের মোট সাতজন নেতাকর্মী মারা যান। ওই সময় তিনজনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। ওই ঘটনায় উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। চারজনের লাশ ময়নাতদন্ত হয়নি এবং মামলা হয়নি।
সূত্র : নয়া দিগন্ত