শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সারা দেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ, বাড়ি-ঘর ও মন্দিরে হামলার অভিযোগ ওঠে। যদিও এ সব গুঞ্জনের বেশিরভাগই ভুয়া বলে জানা যায়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রভাব পড়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গনেও।
ভারতে বাংলাদেশ দলের উপর হামলার হুমকি দেওয়া দেশটির উগ্রপন্থী সংগঠন। এবার বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ বর্জনের (বয়কট) ডাক দিয়েছে আরও কয়েকটি সংগঠন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) চেন্নাইয়ে শুরু হবে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। এই ম্যাচ ছাড়াও ভারতে বাংলাদেশের পুরো সিরিজ বর্জন করার ডাক দেওয়া হয়।
এমনকি সিরিজটির বাতিল করতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) অনুরোধ করেছেন গোয়াভিত্তিক সংগঠন হিন্দু জনজাগ্রুতি সমিতি। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, ‘হিন্দু জনজাগ্রুতি সমিতি দৃঢ়ভাবে জানাচ্ছে যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার ম্যাচ আয়োজন বাংলাদেশের আহত হিন্দুদের প্রতি অসম্মান দেখানোর শামিল। তাদের ওপর অনবরত নৃশংস হামলা চালানো হচ্ছে। সমিতির পক্ষ থেকে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) প্রতি ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ বাতিলের অনুরোধ করছি। এমনকি হিন্দুদের ওপর হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত বাংলাদেশি শিল্পীদের কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও যেন না ডাকা হয়।’
এ দিনে আগামী ৬ অক্টোবর গোয়ালিয়রে হবে দুই দলের প্রথম টি-টোয়েন্টি। সেই ম্যাচ বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে আসছে ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। সংগঠনটির সহ-সভাপতি ডা. জয়বীর ভরদ্বাজ সাংবাদিকদের জানান এ ম্যাচ বাতিলের জন্য সবরকম চেষ্টা করবে তারা।
এর আগে দ্বিতীয় টেস্টে ভেন্যু কানপুরে হামলার হুমকি দেয় দলটি। এই অবস্থায় দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যু পরিবর্তনের কথা উঠলেও তা নাকচ করে দেয় বিসিসিআই।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্তা গণমাধ্যমকে জানায়, ‘আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি এবং সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছি। সূচি অনুযায়ী ম্যাচ আয়োজন করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। দু’দলের টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের জন্য স্টেডিয়ামও সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আমরা ম্যাচ সরানোর কথা ভাবছিই না। কানপুরেই খেলা হবে। তবুও আমরা পরবর্তী পরিস্থিতির দিকেও নজর রাখব। কানপুরের পাশাপাশি আর একটি কেন্দ্রের দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।’
চেন্নাইয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা শুরু হবে ভারত-বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট। কানপুরে হবে ২৭ সেপ্টেম্বর মাঠে গড়াবে দুই দলের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এরপর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ-ভারত।
বাংলাদেশের সফরটির সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এক যোগে কাজ করছে বিসিসিআই ও স্থানীয় প্রশাসন।
সূত্রঃ কালবেলা